– মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু
তোর শিশুসুলভ হাসি আর কান্না
তুই আমার ভালোবাসার বন্যা।
এতো মায়া এতো সুন্দর চোখ মুখ
তোর মাঝেই লুকিয়েছে সকল সুখ।
আহা সেই দু’পাপড়ির মধ্যখানে
দিঘির পদ্মপাতার জল যেখানে।
তোর ডাগরকালো হরিণীর চোখ
ভুলিয়ে দেয় আমার সকল শোক।
ক্ষণিক মধুপূর্ণিমার মায়াবী শিহরণ
অকস্মাৎ ভিনগ্রহে করি আহরণ।
তোকে যখন দেখি হারিয়ে যায় গতি
ভুলিতে পারিনি বাল্যকালের স্মৃতি!
চৈতালির চোখ তাঁর কবে কার কথা
শত পান্ডুলিপি সেথা আছে যে গাঁথা!
চাই নে ঐ সব বই মুখে ফুটে খই
তোর দৃষ্টির যাদুতে ঘরে কেমনে রই?
চাই নে রাজ্যের সকল অভিধান
বুকেতে আছে সবুজের ময়দান।
তোর চোখে তাকালে মরুভূমি হাসে
বিদ্যাসাগর তা দেখে হাওয়ায় ভাসে।
তোর ঠোঁট এখনো কেউ ছোঁয়নি
আমি ছাড়া আর কেউ পায়নি!
প্রিয়তমার সেই ওড়না দিয়ে মাথায়
প্রাণ কেড়ে পাগল করেছে আমায়।
জ্যোৎস্নার স্বাক্ষীতে শুনেছি কবুল
প্রকৃতির ভালোবাসা ছিল নির্ভুল।